গাছি সম্প্রদায় জীবন ও সংস্কৃতি
- ভবেশ মজুমদার
প্রেস্থ পরিচিতি) খতুচক্রের আবর্তনের সঙ্গে বাঙালির কর্মজীবনে একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন জাতির শ্রমজীবী মানুষেরা শীতের আগমনে অংশ গ্রহণ করে এক খণ্ডিত জীবিকায়। কয়েক মাসের জন্য তারা মূল জীবিকার পরিবর্তন করে খেজুর গাছ কাটে ও সুস্বাদু নলেন গুড় তৈরী করে। বাংলার সমাজে এরাই গাছি সম্প্রদায় বা শিউলি নামে পরিচিত। সমাজ ও সাহিত্যে এই গাছি সম্প্রদায়ের মানুষেরা অনেকদিন থেকেই অবহেলিত। দিন অতিবাহিত করতে ওদের প্রনান্তকর অবস্থা ।আর সাহিতোও পায়নি বিশেষ মর্যাদা। তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ ওদের সম্পর্কে খুব কমই জানেন। ওদের জীবন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তুলে ধরতে আমরা প্রয়াসী হয়েছি। গাছি পরিবারের নতুন প্রজন্ম কেন বাংলার এতিহাময় শিল্পকর্মটি থেকে মুখ ফিরিয়ে, সে বিষয়ে আমরা প্রায় সকলেই কৌতুহলী। গাছি সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষেরই প্রত্যাশা সরকার তাদের সাহাযা করুক।
ড. ভবেশ মজুমদার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন যথাক্রমে হাজার ১৯৯৫ ও ১৯৯৭ সালে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য মূলত তার আগ্রহের জায়গায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক তাপস বসুর তত্ত্বাবধানে মঙ্গলকাব্য-গবেষণা করেছেন।সুধীজন কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে তার "মঙ্গলকাব্য আর্য-অনার্য সংস্কৃতি সমন্বয়" গবেষণা কর্মটি। লোকসংস্কৃতির প্রতিও রয়েছে তার সমান ভালবাসা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি অর্থানুকূল্যে "গাছি সম্প্রদায় জীবন ও সংস্কৃতি" শিরোনামে অনু-গবেষণা করেছেন। বর্তমানে সুধিরঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ে (মাজদিয়া) সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত।